বার্তা পরিবেশক :
শিক্ষাবিদ প্রফেসর সফিউল আলম একজন দক্ষ প্রশাসক ও সংগঠক। একাধারে কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গবেষক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ টেকস্ট বুক বোর্ড থেকে যেসব বই পূর্বে মুদ্রিত হয়েছে প্রতিটিতে তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে। এরকম একজন গুণিজনকে কক্সবাজারের খুব কম মানুষই চিনে ও জানে। প্রফেসর সফিউল আলমের জন্ম ও স্থায়ী নিবাস কক্সবাজারের জেলার চকরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হারবাং ইউনিয়নে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য জাতি তাঁর কাছে চিরদিন ঋণী থাকবে।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৩৮৬তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় “সফিউল আলম : আলোকিত গ্রামের আলোকিত মানুষ” শীর্ষক প্রবন্ধের উপর আলোচনা কালে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
২৭ জানুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাহিত্য সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট কবি সুলতান আহমেদ।
একাডেমীর সভাপতি লোক-গবেষক মুহম্মদ নূরুল ইসলামের লিখিত প্রবন্ধটি পাঠ করেন একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল।
প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন যথাক্রমে একাডেমীর নির্বাহী সদস্য পিটিআইর প্রাক্তন সুপার শিক্ষাবিদ রাজবিহারী চৌধুরী, স্থায়ী পরিষদের সদস্য গবেষক নূরুল আজিজ চৌধুরী, স্থায়ী পরিষদ সদস্য কবি দিলওয়ার চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক কবি মোহাম্ম্দ আমিরুদ্দীন, নির্বাহী সদস্য কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গল্পকার সোহেল ইকবাল, একাডেমীর নির্বাহী সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী আবুল কালাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাসান আহমদ সোবহানী, এডভোকেট কবি মনজুরুল ইসলাম ও এডভোকেট আবৃত্তিকার নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগণ আরো বলেন, প্রফেসর সফিউল আলম তাঁর সাহিত্য কর্মের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার, কক্সবাজার প্রেসক্লাব রজত-জয়ন্তী সম্মাননা, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার ৫০ বছর পূর্তি সম্মাননা, চট্টগ্রাম সমিতি পদক-২০১১ ও কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা সম্মাননা।
বক্তাগণ বলেন, সাহিত্যে কক্সবাজারের এই গুণি মানুষটির অসাধারণ অবদান থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে কোনো সম্মাননা দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়নি। অথচ তাঁর চেয়ে অনেক অযোগ্য মানুষকে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে।
আলোচনা শেষে স্বরচিত ও প্রিয় কবির কবিতা পাঠ করা হয়। কবিতা পাঠ করেন যথাক্রমে সুলতান আহমেদ, রুহুল কাদের বাবুল, মনজুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, শামীম আকতার, সেলিনা ইসলাম, কল্লোল চৌধুরী, হাশেম রাজা।
পরে সংগীত পরিবেশন করেন নূরুল আলম হেলালী, মোহাম্মদ আবদুল হাকিম ও সেলিনা ইসলাম।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার দুপুর ৩টায় একাডেমীর ৩৮৭তম সাহিত্য সভা কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় বাংলার মধু কবিকে স্মরণ করা হবে। অনুষ্ঠানের সবাইকে স্বরচিত কবিতা নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সভায় সাহিত্য একাডেমীর সংশি¬ষ্ট সকলসহ জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদিদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল আহবান জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: